![]() |
চিত্র/ম্যাপ - একসময়ের স্বাধীন বাংলা। |
আপনি বর্তমান যেই বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছেন এবং ভারতের যেই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য দেখতে পাচ্ছেন, তা কি আসলেই বর্তমানে স্বাধীন রাজ্য? কখনোই না....
ধর্মের দুহাই দিয়ে, পুরো বাংলাকে লুটে পুটে খেয়ে চেয়েছিলো - ভারত এবং পাকিস্তান।
• বাংলার মানুষকে তোয়াক্কা না করে বাংলা দখলের যেই ষড়যন্ত্র করেছিলেন ৪৭ এ, তা ইতিমধ্যে বাঙালি জাতি বুঝতে শুরু করেছে।
• ভারত ও পাকিস্তান মিলে পুরো বাংলাকে ৫০% করে ভাগাভাগি করে খেতে চেয়েছিলো - যার ফলাফল বর্তমান ২ বাংলা ও আসাম এবং ত্রিপুরা।
![]() |
ম্যাপ - বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ। |
• ভারত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা মিলে প্রায় ১ লক্ষ্য ৭৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা লুফে নেয় এবং পাকিস্থান ১ লক্ষ্য ৪৭ হাজার।
![]() |
১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ। |
• পশ্চিমবঙ্গ ছিলো আমাদের ভূখণ্ড, অখণ্ড বাংলার ভূখণ্ড। ধর্মের নামে পুরো একটা জাতিকে লুট করার উদ্দেশ্য নিয়ে আলাদা করা হয়েছে, এবং যার লুটপাট এখনো বিদ্যমান।
• কিন্তু মূল ইতিহাস কয়জনই বা জানে? পূর্ববাংলার অর্থনীতি ছিলো উন্নত, পাঠ থেকে শুরু করে পোশাক আশাক সবকিছুতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ পূর্ব বাংলা হলেও ব্রিটিশ আমলে এই পূর্ব বাংলার অর্থেই কলকাতা শহর গড়ে উঠেছিলো, হয়ে উঠেছিলো সমৃদ্ধ একটি শহর, যা পূর্ববাংলার মানুষের কঠোর পরিশ্রমের ফলশ্রুতি হওয়া সত্ত্বেও, ৪৭ এ দেশ ভাগের সময় কলকাতা কে পূর্ব বাংলা থেকে আলাদা করা হয় শুধুমাত্র ২ দেশ এই বাংলাকে লুটবে, সেই উদ্দেশে।
এই বাংলা হয়তো আর কখনও এক হবেনা, তবে এই বাংলাকে প্রচুর লুট করা হয়েছে, এতটাই লুট করা হয়েছে যে, যদি এসব না করা হতো, অখণ্ড বাংলা হতো বর্তমান বিশ্বের সবথেকে উন্নত এবং ধনী দেশের একটি। 🙂
ধর্মের নাম ব্যবহার করে পুরো একটি জাতিকে লুট করা হলো, যার অনেকাংশ এখনো বিদ্যমান 😅
• কিন্তু এখানেই কি শেষ?
না, আপনি কি জানেন? আসাম রাজ্য এই বাংলার সম্পূর্ণ অংশ, একসময় আসাম ছিলো জঙ্গলে ঘেঁষা, পাহাড়ি অঞ্চল। যেখানে মানুষ বাস করার মত উপযোগী ছিলো না। কিন্তু পূর্ব বাংলার মানুষ আস্তে আস্তে সেখানে যায়, তিল তিল করে গড়ে তুলে নতুন নতুন কৃষিজ জমি, জঙ্গল থেকে গড়ে তুলে পুরো একটি বসবাসযোগ্য স্থান। যা বর্তমানে ভারতের একটি রাজ্য হলেও, এটিও অখণ্ড বাংলার অংশ। কিন্তু যারা ওই রাজ্যটা গড়ে তুলেছিলো, সেই পূর্ব বাংলার মানুষগুলোকে আজ ভারত অনুপ্রবেশকারী ট্যাগ দিচ্ছে। তাদের নাগরিকত্ব দিচ্ছেনা। অথচ তাদের মাথার ঘাম পায়ে ঝরানোর ফলেই আসাম রাজ্যে মানুষ বসবাসযোগ্য হয়ে উঠে।
![]() |
বর্তমান ভারতের আসাম রাজ্য, অখণ্ড বাংলার অংশ। |
• ত্রিপুরা কি তাহলে বাঙালি জাতির রাজ্য নয়?
- ত্রিপুরা সম্পূর্ণ বাঙালি জাতির রাজ্য, যেখানে বর্তমান যারা আছে, তাদের বেশিভাগ ই বাঙালি, পূর্বে শুধু বাঙালি দের বসবাস ছিলো সেখানে, এখন ইন্ডিয়া তো ষড়যন্ত্র করে সেখানে ভিন্ন ভাষী মানুষজন ঢুকাচ্ছে। সম্পূর্ণ বাঙালি জাতির একটি অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও, এটি এখন ভারতের একটি রাজ্য।
![]() |
ত্রিপুরা রাজ্য, অখণ্ড বাংলার অংশ। |
আজ এপর্যন্তই বাংলার ইতিহাস আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম। যদি বেঁচে থাকি ভবিষ্যৎ এ আপনাদের জন্য সকল গভীর তথ্য বের করে, আপনাদের কে জানাবো 💜 এই বাংলার ইতিহাস, বাঙালি জাতির ইতিহাস।
0 Comments